- আন্তর্জাতিক
- দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের টিকাদান আশঙ্কাজনক হারে কমছে
দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের টিকাদান আশঙ্কাজনক হারে কমছে

ছবি: ইউনিসেফ
মহামারির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুদের টিকাদান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ৫৩ লাখ শিশু নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় জীবন রক্ষাকারী টিকাদান থেকে বাদ পড়েছে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বাধিক। বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে টিকাদান কমেছে ৬ শতাংশ।যা ২০১৯ সালে টিকা বঞ্চিত শিশুদের চেয়ে প্রায় ১৯ লাখ বেশি।
এমনকি ২০১৯ ও ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ডিপথেরিয়া-টিটেনাস-পারটুসিস (ডিটিপি থ্রি) ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ গ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ৯০ শতাংশ থেকে কমে ৮৪ শতাংশ হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের তথ্য অনুয়ায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে শিশুদের টিকা দেওয়ার হার কমেছে। নেপালে ডিটিপি থ্রি দেওয়ার হার ৯ শতাংশ কমেছে। পাকিস্তানে কমেছে ৭ শতাংশ, ভারতে কমেছে ৬ শতাংশ ,শ্রীলঙ্কায় কমেছে ৩ শতাংশ এবং ভুটান ও আফগানিস্তানে ২ শতাংশ করে কমেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লরিয়া-অ্যাডজেই বলেন, “রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে শিশুদের টিকাদানে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করা একটি অঞ্চলকে কোভিড -১৯ এর কারণে এভাবে উল্টো পথে চলতে দেখা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। প্রায় ৪৪ লাখ শিশু তাদের মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে, এমন ভ্যাকসিনের একটি ডোজও পাচ্ছে না। সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এটি দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের জন্য একটি বিশাল ধাক্কা। কারণ এটি তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে এবং তাদের দুর্ভোগের দিকে ধাবিত করছে।“
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে টিকা না পাওয়া শিশুদের ৬২ শতাংশেরই বসবাস মাত্র ১০টি দেশে। বিশেষ করে করোনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ভারতে অরক্ষিত শিশুর সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৫ লাখ।এমনকি, টিকাবঞ্চিত ৪৪ লাখ শিশুর মধ্যে ৩০ লাখ শিশুই ভারতের।
ইউনিসেফের অনুমোদিত গবেষণার হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার কারণে ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার শিশুদের প্রধান ঘাতক হলো নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো রোগ।
মন্তব্য করুন