- আন্তর্জাতিক
- আফগানিস্তানের আরেক প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে
আফগানিস্তানের আরেক প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে

ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ জাওজানের রাজধানী শেবারগান দখল করে নিয়েছে তালেবান। এর মধ্য দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির দুটি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হলো কট্টরপন্থিদের হাতে। আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। তবে জাওজানের ডেপুটি গভর্নর কাদের মালিয়া আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খবর রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসির।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার চূড়ান্ত করার মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ বাড়িয়েছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধারা প্রথমে বনাঞ্চল, গ্রাম ও ছোট শহরে হামলা চালিয়ে সেগুলো দখলে নিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলই তাদের নিয়ন্ত্রণে গেছে। এর আগে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় তালেবান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলেও প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে প্রথম দখল নেয় নিমরোজের জারাঞ্জ শহর। এরপর ওই দিন রাতেই সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং যুদ্ধবাজ আব্দুল রশিদ দস্তুমের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শেবারগানে হামলা চালায় তালেবান। তার সমর্থকরা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদিন তালেবানের হামলার পর পিছু হটে সরকারি বাহিনী।
ডেপুটি গভর্নর কাদের বলেন, বিমানবন্দর বাদে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সম্পূর্ণরূপে শহরটির পতন হয়েছে। শেবারগানের বিমানবন্দর ঘিরে সরকারি বাহিনী ও কর্মকর্তা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তালেবানের সঙ্গে লড়াইয়ে ১০ সরকারি সেনা ও আবদুল রশিদ দস্তুম গ্রুপের একজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, জারাঞ্জ যত সহজে দখলে নিতে পেরেছে তালেবান, তত সহজে শেবারগানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তারা। এজন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে ব্যাপক লড়াই করতে হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, তালেবান জাওজানের একটি কারাগার দখলে নিয়েছে এবং সব বন্দিকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা গেছে, শনিবার কয়েকশ বন্দি শেবারগানের কারাগার ছেড়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিয়া প্রদেশের গুরুদুয়ারার ছাদ থেকে শিখ সম্প্রদায়ের পতাকা নিশান সাহিব শুক্রবার নামিয়ে ফেলে তালেবান। অবশ্য ওই দিনই তা আবার উত্তোলন করা হয়।
মন্তব্য করুন