করোনা মহামারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতে শিক্ষক এবং স্কুলের কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সোমবার এক বিবৃতিতে এমন আহ্বান জানানো হয়।

ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুলগুলো আবার খুলতে যাচ্ছে। স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে উপস্থিত থাকার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। এর আগেও অবশ্য এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা। ২০২০ সালের নভেম্বরে করোনার টিকা আসার আগেই শিক্ষকদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। এবারের বিবৃতিতে করোনার ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে টিকা দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও এএফপির।

ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুগে বলেন, করোনা মহামারির ফলে শিক্ষার ওপরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাধাটা এসেছে। তাই শিশুদের বিকাশের জন্য স্কুল খোলাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া শারীরিক জটিলতা থাকা শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়েও জোর দিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। তারা জানায়, করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় ১২ বছরের বেশি এসব শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি করোনা মহামারির মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে স্কুলের পরিবেশ আরও উন্নত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইউরোপে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিনের হার স্থবির হওয়ার কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। করোনার অতি সংক্রমণযোগ্য ডেলটা ধরণ ছড়িয়ে পড়ায় এ অঞ্চলগুলোতে কভিড-১৯ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে যে সব দেশে টিকা প্রয়োগের হার কম সেখানে করোনার ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। দরিদ্র দেশগুলো বিশেষ করে বলকান, ককেশাস এবং মধ্য এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও বেড়েছে।