কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন অভিযোগ আর পাল্ট অভিযোগে সরগরম। যুযুধান তৃণমূল আর বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করছে। এই আসনের তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে পেশ করা হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করছে বিজেপি। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কভিড বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল।

ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এর পরই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের জবাব চেয়ে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। বুধবার এ চিঠি পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। যদিও তৃণমূলের করা এ অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই যেকোনো ভাবে আমার প্রচারণা বন্ধ করতে চাইছে।

নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা করার সময় প্রিয়াঙ্কা কভিড বিধি ভেঙেছেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল কমিশনের।

এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। জবাব দেব। তবে কোনো নিয়ম আমি ভাঙিনি। শুভেন্দুদা আমার গাড়িতে ছিলেন। অর্জুন সিং, দীনেশ ত্রিবেদীরা অন্য গাড়িতে সোজা কমিশনের অফিসে পৌঁছেছিল। রাস্তায় ক’টা গাড়ি থাকবে, কারা আসবে, যাবে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। কমিশনের অফিসের বাইরে যখন ভিড় জমেছিল, তখন জমায়েতকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়নি কেন?

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, পাঁচটি মামলার বিষয়ে হলফনামায় কোনো তথ্য দেননি মমতা।

মঙ্গলবার মমতার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও তৃণমূল বা নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।