তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিস্কারের জন্য এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পটাপৌটিয়ান। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

মানবদেহ কীভাবে স্নায়ুতন্ত্রের সাহায্যে স্পর্শের অনুভূতি এবং চাপ অনুভব করে সেটি বোঝার জন্য রিসেপ্টর আবিষ্কারের গবেষণা করে এবারে চিকিসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ওই দুই বিজ্ঞানী। খবর রয়টার্সের। 

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট জানায়, এই আবিষ্কার ব্যথানাশক হিসেবে নতুন পথ উন্মোচন করেছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, তাপ, ঠান্ডা ও স্পর্শ অনুভব করার ক্ষমতা আমাদের স্নায়ু এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যা আমাদের চারপাশের পরিবেশকে উপলব্ধি করতে এবং মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। 

এই জ্ঞান দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও জানায় সংস্থাটি। 

বরাবরের মতো নোবেল পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগাভাগি করে নেবেন এ দুই বিজ্ঞানী। এর আগে, গত বছর হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের গবেষণায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী হার্ভি জে অল্টার ও চার্লস রাইস এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হটন।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো চলতি বছরও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছোট আকারের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে; গতবারের মতো সেই অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির বাইরে অন্য কোনও অতিথি উপস্থিত ছিলেন না।

টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে নোবেল ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের প্রাপ্ত পদক ও সনদ পৌঁছে যাবে তারা যেসব দেশের নাগরিক, সেসব দেশের কূটনীতিকদের কাছে। বিজয়ীরা দেশে তাদের কাছ থেকে পদক ও সনদ সংগ্রহ করবেন।

ডিনামাইট আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেল ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে গিয়েছিলেন, আজকের বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ দিয়েই ১৯০১ সাল থেকে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারের প্রচলন করা হয়।

আলফ্রেড নোবেলের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৬৮ সালে এ তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। চলতি বছর ৪ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।