মেয়ে যখন অনলাইন ক্লাসে ব্যস্ত তখনই মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মেয়েকে হত্যা করেন বাবা। এরপর একই কায়দায় স্ত্রীকেও হত্যা করে অভিজিৎ। পরে আত্মহত্যা করেন তিনি নিজেই। 

একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে দেবযানী এবং সম্রাজ্ঞীর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, অভিজিৎ এবং দেবযানীর তেরো বছরের মেয়ে সম্রাজ্ঞী সে একটি অভিজাত ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। মৃত্যুর সময় তার পরনে ছিল স্কুলের পোশাক। তা দেখে পুলিশের ধারণা, সম্রাজ্ঞীকে যখন খুন করা হয়েছে তখন সে স্কুলের অনলাইন ক্লাসে ব্যস্ত ছিল। ঠিক সেই সুযোগেই তাকে মাথায় হাতুড়ির মারেন অভিজিৎ। এর পর তিনি স্ত্রীকেও একই কায়দায় খুন করেন। সব শেষে অভিজিৎ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

হত্যার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আর্থিক অনটনের বিষয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অভিজিৎ স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেছিলেন। সেই টাকা শোধ না করতে পারার জন্য প্রায়শই অশান্তি হত দেবযানী এবং অভিজিতের মধ্যে। সম্প্রতি ওই গয়না নিলাম করে দেওয়ার কথাও ছিল ব্যাংকের। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় এই ঘটনা।

পুলিশের ধারণা, মূলত ব্যাংকের গয়না ছাড়িয়ে আনা নিয়েই সে দিন অভিজিৎ এবং দেবযানীর তুমুল অশান্তি হয়েছিল। তার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার হাওড়ার লিলুয়া থানার বেলগাছিয়া কে রোডের বাসিন্দা অভিজিৎ দাস (৪৭) নামে এক ব্যবসায়ী, তাঁর স্ত্রী দেবযানী (৪২) এবং তাঁদের মেয়ে সম্রাজ্ঞী (১৩)-র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।