চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংক্রমণের হার আচমকা বেড়ে যাওয়ায় শহরগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, উন্মুক্ত স্থানে জটলা বা সভা-সমাবেশে নিরুৎসাহিত করাসহ নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরের অঞ্চলগুলোতে এই সতর্কতা অবলম্বন ও পর্যবেক্ষণে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

চীনে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বুধবার ছিল ২৩। বৃহস্পতিবার অফিসিয়াল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই সংখ্যা আগের দৈনিক ৫০-এর চেয়ে কম। ১৭ অক্টোবর যখন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছিল, তখন থেকে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২৭০-এ দাঁড়িয়েছে।

সংখ্যাটি যদিও চীনের বাইরের অনেক ক্লাস্টারের তুলনায় বড় নয়, তবু এক ডজনেরও বেশি প্রাদেশিক অঞ্চলে করোনার ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ ও দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির কারণে স্থানীয় কর্মকর্তারা বিধিনিষেধ কঠোর করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে পর্যটন এবং ক্যাটারিং কোম্পানিগুলোসহ পরিষেবা খাত অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে।

রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তযুক্ত উত্তর-পূর্ব হেইলংজিয়াং প্রদেশের হেইহে শহরে স্থানীয়ভাবে একটি নিশ্চিত করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। উপসর্গবিহীন সংক্রমণ পাওয়া গেছে তিনটি। ২৭ অক্টোবর থেকে দেশটিতে সংক্রমণের এই দুটো লক্ষণকে ভিন্নভাবে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহরটিতে মানুষ ও যানবাহনকে শহর ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। বিনা কারণে নাগরিকদের বাড়ি থেকে রাস্তায় না বেরোতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাস ও ট্যাক্সিসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, শহর থেকে ফ্লাইট এবং কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হেইহে-ক্লাস্টার কীভাবে শুরু হয়েছিল বা সংক্রমিতদের মধ্যে কেউ অন্য অঞ্চলে গিয়ে সেখান থেকে তা বহন করে এনেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জিয়ামুসিসহ আরও কয়েকটি শহরে কোনো সংক্রমণের খবর এখনো পাওয়া না গেলেও সেগুলোও প্রাক-যুদ্ধাবস্থা নীতি গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটির ৭৬ শতাংশ মানুষকে পুরো ডোজের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।