- আন্তর্জাতিক
- সাইবেরিয়ায় বেলারুশের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নয় যাত্রীর সবাই নিহত
সাইবেরিয়ায় বেলারুশের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নয় যাত্রীর সবাই নিহত

সাইবেরিয়াতে বেলারুশের একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নয় যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইরকুটস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিমানটি। পরে সাইবেরিয়া একটি গ্রামে বিমানটি ভূপাতিত হলে তাতে আগুন লেগে যায়।
রাশিয়ার ফেডারেল এভিয়েশন এজেন্সি রোজাভিয়াসিয়া জানিয়েছে, বেলারুশের গ্রোদনা কোম্পানির কার্গো বিমানটি অবতরণের ঠিক আগে আকাশে চক্কর খেতে থাকে, তখনই এটি রাডার যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
ইরকুটস্কের গভর্নর ইগোর কবজেভ সংবাদমাধ্যমকে দুর্ঘটনার খবর জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সত্যিই দুর্ভাগ্য, যাত্রীদের কেউ বেঁচে নেই।’
ঘটনাস্থল থেকে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। কুয়াশাচ্ছাদিত অঞ্চলে টর্চলাইটের সাহায্যে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ করছেন তারা।
এ ঘটনায় পরিবহন চলাচলে নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
বেলারুশ বলছে, বিমানটিতে বেলারুশের তিনজন দক্ষ ক্রু, দুজন রাশিয়ান, দুজন ইউক্রেনিয়ান নাগরিক ছিলেন। বিমানটি কোনো পণ্য পরিবহন করছিল না।
কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই বিমানে আর দুজন অতিরিক্ত যাত্রী ছিল।
বেলারুলের পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, বিমানটি বাজে আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে।
রাশিয়ার আন্তোনোভ বিমানটি সোভিয়েত আমলে নির্মিত হয়েছিল। এই ধরণের বিমান সাধারণ নাগরিকদের পরিবহনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীতেও ব্যবহৃত হত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তোনোভ বিমানগুলো দুর্ঘটনায় পড়ছে। দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর সোভিয়েত আমলের বিমান বদলে আধুনিক সব বিমান নিয়ে আসে রাশিয়া। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা, অযত্ন আর নিরাপত্তা ইস্যু জোরদার না করায় রাশিয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার খাবারাস্ক এলাকায় বিমান দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। গত জুলাইয়ে কামচাটকা পেনিনসুলা এলাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় ২৮ জন।
মন্তব্য করুন