- আন্তর্জাতিক
- ইথিওপিয়া দূতাবাস ত্যাগে কর্মীদের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ইথিওপিয়া দূতাবাস ত্যাগে কর্মীদের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইথিওপিয়ার স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) হুমকি পাওয়ার পর আবি আহমেদ সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে গত মঙ্গলবার। এরপর মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত কিছু কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ইথিওপিয়া ত্যাগে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূতাবাসে জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নন এমন কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ইথিওপিয়া ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর কারণ হিসেবে ইথিওপিয়ার রাজধানী তেল আবিবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি সেনাদের দ্বন্দ্বের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইথিওপিয়ার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করার পরদিনই এই ঘোষণা আসল। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইথিওপিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে, সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে।
ইথিওপিয়া ছাড়ার নির্দেশনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই মুহূর্তে ইথিওপিয়া সফরে যাওয়া একদমই নিরাপদ নয়, কারণ সেখানে সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সতর্কবার্তায় বলেছে, ‘নাগরিকদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে যাওয়ায় ইথিওপিয়া সরকার এর আগে ইন্টারনেট, ফোন ও মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রেখেছিল ইথিওপিয়া সরকার।’
যুক্তরাষ্ট্রের এমন বার্তার প্রতিক্রিয়া জানতে ইথিওপিয়া সরকারের মুখপাত্র লেগেস টুলোকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
ইথিওপিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে গত বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন ও ইথিওপিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যৌথ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে টিগ্রে অঞ্চলে চলমান যুদ্ধে ইথিওপিয়া ও প্রতিবেশী এরিত্রিয়ার সেনাবাহিনী মারাত্মক যুদ্ধাপরাধ করেছে। যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে নিস্কৃতি পায়নি বিদ্রোহী টিপিএলএফ বাহিনী, আমহারা ফোর্সও। গণধর্ষণ, গণহত্যা, অঙ্গচ্ছেদ, জরুরি ত্রাণ পরিবহনে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিটি বাহিনীর বিরুদ্ধে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতিক জেফরি ফ্যাল্টম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইথিওপিয়াতে, যারা আবি আহমেদ সরকারকে দ্রুত যুদ্ধবিরতি আলোচনার পথে সহায়তা করবে।
এদিকে যুক্তরাজ্য ইথিওপিয়াতে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের সার্বিক অবস্ধা জানতে চেয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু থাকার মধ্যেই যেন তারা দ্রুত দেশটি ত্যাগ করে।
মন্তব্য করুন