- আন্তর্জাতিক
- ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথম সামরিক মহড়ায় আমিরাত-বাহরাইন
ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথম সামরিক মহড়ায় আমিরাত-বাহরাইন

ছবি: মার্কিন নৌবাহিনী
ইসরায়েলের সঙ্গে শুধু সম্পর্ক স্থাপনেই থেমে থাকেনি, এবার দেশটির সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায়ও অংশ নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। লোহিত সাগরে পাঁচদিনের এই নৌ-মহড়া শুরু হয় গত বুধবার।
বিবিসি বলছে, উপসাগরীয় কোনো দেশের নৌবাহিনী, আমেরিকান নৌবাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত ইসরায়েলি রণতরীর সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া দেবে, এমন ঘটনা এই প্রথম। অথচ মাত্র তিনবছর আগেও বিষয়টি নিয়ে কল্পনাও করা যায়নি।
এ নৌ-মহড়ায় অংশ নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইসরায়েল ও আমেরিকার রণতরীগুলো। জাহাজের মুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে, জাহাজে ওঠা, অনুসন্ধান চালানো এবং তা জব্দ করার কৌশল এ মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড বলছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নৌবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি এ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য।
গতবছরের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অ্যাব্রাহাম চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। এরপরই এই প্রথম যৌথ মহড়ায় অংশ নিল দেশগুলো।
ওই চুক্তির পর ইসরায়েল এবং উপসাগরীয় দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক, সামরিক এবং গোয়েন্দা যোগাযোগের ব্যাপারে ব্যাপক হারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ইরান বিষয়ে দেশগুলোর একই ধরনের উদ্বেগের পটভূমি রয়েছে।
এরপর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নিজে বাহরাইনে যান এবং অক্টোবরে আরব আমিরাতের বিমানবাহিনীর অধিনায়ক প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি সফরে ইসরায়েল যান।
এদিকে ইরানও সম্প্রতি হরমুজপ্রণালীতে তাদের নিজস্ব নৌ-মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। উপসাগরীয় এলাকায় আমেরিকান এবং অন্যান্য পশ্চিমা নৌবাহিনীর উপস্থিতির ঘোর বিরোধিতা করছে ইরান।
মন্তব্য করুন