- আন্তর্জাতিক
- মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচার শুরু হচ্ছে আর্জেন্টিনায়
রোহিঙ্গা গণহত্যা
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচার শুরু হচ্ছে আর্জেন্টিনায়

গণহত্যার ভয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা -ফাইল ছবি
রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ। এটাকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নিপীড়িত রোহিঙ্গা এবং তাদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নিয়োজিতরা।
দেশটির আদালত বলেছেন, বিশ্বের যে কোনো স্থানে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তার বিচার যে কোনো দেশেই হতে পারে। যুক্তরাজ্যের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস রোববার এ খবর দিয়েছে।
বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের (বিআরওইউকে) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর বুয়েনাস আয়ার্সের ফেডারেল ফৌজদারি আদালতের দ্বিতীয় চেম্বার নিশ্চিত করেছে, তারা সর্বজনীন এখতিয়ারের নীতির অধীনে মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু করবে।
বিআরওইউকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের কাছে দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান এবং বর্তমান সেনাশাসক মিন অং হ্লাইংসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ মামলার আবেদন করেছিল। বিআরওইউকের প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেন, এটি শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, বরং সব স্থানের নির্যাতিত মানুষের জন্য একটি আশার দিন। আর্জেন্টিনার এ সিদ্ধান্তে প্রমাণ হয়, যারা গণহত্যা ঘটায়, তাদের লুকানোর কোনো জায়গা নেই। বিশ্ব এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
বাদীদের আইনজীবী টমাস ওজিয়া কুইন্তানা বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের জবাবদিহি ও শাস্তির জন্য তারা সুনির্দিষ্ট ফলাফল প্রত্যাশা করছেন। গণহত্যায় জড়িতদের নাম প্রকাশ্যে আনা এবং আর্জেন্টিনায় তাদের বিচারের চেষ্টা করবেন তারা। ওই আইনজীবী জানান, ২০১৭ সালের গণহত্যায় জড়িত মিন হদ্মাইংসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে সাক্ষ্য নেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।
মন্তব্য করুন