বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন তদারকিতে ব্যবহৃত বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে ক্রটি দেখা দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো সময় মতো আমদানি-রপ্তানির রিপোর্ট করতে পারছে না। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। 

আমদানি-রপ্তানির এলসি খোলা, নিষ্পত্তি, বিল অব অ্যান্ট্রিসহ সব ধরনের তথ্য থাকে এই ড্যাশবোর্ডে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যা যুক্ত। ফলে পণ্য খালাসেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন তদারকির জন্য ২০১৩ সালে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং ড্যাশবোর্ড’ স্থাপন করা হয়। এই ড্যাশবোর্ডে ব্যাংকগুলোর আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হয়। বিশেষ করে কোন পণ্যের জন্য কোন মুদ্রায় এলসি খোলা হয়েছে। কোন দেশ থেকে পণ্যটি আসবে বা যাবে। এলসি খোলার পর কবে টাকা আসলো বা গেল, কোনো বিল বকেয়া আছে কি না, বিলের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে কি না এসব তথ্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংক এই ড্যাশবোর্ডে দিয়ে থাকে। ড্যাশবোর্ডের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এনবিআর অনেক ক্ষেত্রে পণ্য খালাস করে।

জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ড্যাশবোর্ডে ত্রুটি চলছে। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। শিগগিরই এটি ঠিক হয়ে যাবে বলে তাদের আশা। 

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একবার ড্যাশবোর্ডে ধীরগতি দেখা দিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৌশলীরা সমস্যা সমাধানে সক্ষম হন। তবে বারবার যেন এখানে ত্রুটি না হয় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।