ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতসহ ১৪ জনকে বহনকারী এমআই ১৭ ভি৫ সামরিক হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেটি থেকে যাত্রীদের পড়তে দেখেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। 

বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হেলিকপ্টার থেকে যাত্রীদের পড়তে দেখেছেন তিনি। পরে ধ্বংসাবশেষ থেকে একজনকে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতেও দেখেছেন।  

বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তদন্তের অংশ হিসেবে দেশটির বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে হেলিকপ্টারটির ফ্লাইট ডেটা অর্থাৎ ব্ল্যাক বক্সও পাওয়া গেছে। 

এদিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই। বুধবার ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াতসহ ১৩ জন নিহত হন। 

এএনআই স্থানীয়দের কাছ থেকে ভিডিওটি সংগ্রহ করে টুইট করেছে। ভিডিওতে দেখা যায় হেলিকপ্টারটি তামিল নাড়ুর নীলগিরির কাছে উড়ে গিয়ে কুয়াশায় মিলিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ভিডিওটি হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে আছড়ে পড়ার আগ মুহূর্তে ধারণ করা। তবে ভারতের বিমান বাহিনী ভিডিওটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেনি।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, একদল মানুষ হেলিকপ্টারটি দেখতেছেন এবং কুয়াশায় হারানোর পর সেটির শব্দেরও পরিবর্তন হয়। এমনকি সাধারণত যে দিকে যাওয়ার কথা সেদিকে তাকিয়েও তারা আর সেটি দেখতে পাচ্ছিলেন না। তখন একজনকে বলতে শোনা যায়, কি হলো, এটা কি পড়ে গেছে নাকি বিধ্বস্ত হয়েছে? তখন অন্য একজনকে ‘হ্যা’ উত্তর দিতে শোনা যায়।     

কোইমবাটোরের সুলুর সেনাঘাঁটি থেকে নীলগিরির ওয়েলিংটনের ডিফেন্স স্টাফ কলেজে যাওয়ার পথে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং। তিনি গুরুতর দগ্ধ হয়ে ওয়েলিংটনের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে উড্ডয়ন করা হেলিকপ্টারটি যখন বিধ্বস্ত হয়েছে তার ১০ মিনিট পরই অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ১২টা ২২ মিনিটে জানা যায় হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলটি কাছাকাছিতে থাকা প্রধান সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল। পরে সেখানেই উদ্ধারকর্মীরা যান।