আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থ ছাড়ের দাবিতে কাবুলে বন্ধ হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। 

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানীতে ‘আমাদের জব্দ করা অর্থ ফেরত দাও’ ও ‘আমাদের খেতে দিন’ লেখা ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায় তালেবানের সদস্যদের। খবর আলজাজিরার।

১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর পর থেকে মূলত দেশটিতে বিদেশি সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করা হয়। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নানা সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়া ও সম্পদ আটকে থাকার কারণে ভুগছে আফগানিস্তান। ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনীতির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, বাড়ছে দারিদ্র্য।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বলছে, এভাবে চলতে থাকলে তালেবানের শাসনাধীন আফগানিস্তানে মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে।

অনেক দিন ধরে সরকারি কর্মচারী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। গ্রাহকরা কী পরিমাণ অর্থ তুলতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।

যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মানবিক সংকট এড়াতে মুসলিম দেশগুলো আফগানিস্তানের জব্দ করা অর্থ ছাড় নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপের চেষ্টার কথা জানিয়েছে।

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ সভায় বলা হয়, সংস্থার ৫৭ দেশ আফগানিস্তানের অর্থপ্রবাহ ও মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করতে আর্থিক ও ব্যাংকিং চ্যানেলগুলো সচল করার জন্য কাজ করবে।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নতুন সরকার গঠন করে তালেবান। সরকার গঠন করলেও এখনও কোনো দেশ এ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।