যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে একদিনে ১১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি কভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে গত দুই বছরে বিশ্বের কোনো দেশে একদিনে এত সংখ্যক রোগী আর শনাক্ত হয়নি। অর্থাৎ নতুন বিশ্বরেকর্ডে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগের রেকর্ডও যুক্তরাষ্ট্রেই ছিল। ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর গত ৩ জানুয়ারি দেশটিতে ১০ লাখ তিন হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

তবে দেশটিতে প্রতি সোমবার রোগী বেশি শনাক্ত হওয়ার একটি কারণও ব্যাখ্যা করেছে রয়টার্স। বলা হচ্ছে, শনি ও রোববার ছুটির দিনে অনেক রাজ্য থেকে নমুনা পরীক্ষার তথ্য আসতে দেরি হচ্ছে।

সাতদিনের গড় হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে সাত লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এদিকে একইদিনে আরেক ভয় জাগানো রেকর্ডের মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার দেশটির হাসপাতালগুলোতে এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি কভিড রোগী ভর্তি ছিল, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

এ ধরনের এর আগের রেকর্ডটিও ছিল গতবছরের জানুয়ারিতে, সে সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছিল।

রয়টার্স বলছে, ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর গত তিন সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন পুরো বিশ্বেই প্রভাব বিস্তার করছে। রোগীর চাপে উদ্বেগ বাড়ছে ইউরোপেও।

গতবছরে আধিপত্য বিস্তার করা ডেল্টা ধরনের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ডেল্টার চেয়ে কম বলে প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, প্রাথমিক গবেষণার ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওমিক্রনকে কম গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি বেড়ে গেলে এবং সংক্রমণের ফলে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট দেখা দিলে তা বড় ধরনের বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে।