অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ১৭ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলের সেনারা।

সোমবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের শেষের দিকে এক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীকে হত্যায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ জারাদাতের বাড়ি রোববার রাতে ধ্বংস করে দিতে আসা ইসরায়েলের সেনারা মুহাম্মদ আবু সালাহ নামের ওই কিশোরকে সিলাত আল-হারিথিয়া গ্রামে হত্যা করে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান সম্পর্কে জানার পর বহু ফিলিস্তিনি হেঁটে পাশের গ্রাম ও শহর থেকে সিলাত আল-হারিথিয়ায় গিয়েছিলেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে অন্তত ডজনখানেক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

নিহত কিশোর মুহাম্মদ আবু সালাহ

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানাচ্ছে, তাদের অ্যাম্বুলেন্সকে ওই গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এ কিশোরের হত্যার বিষয়ে সরাসরি কোনো কিছু উল্লেখ না করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলে, ইসরায়েলের সেনাদের লক্ষ্য করে শতাধিক ফিলিস্তিনি পাথর ও পেট্রোল বোমা ছুড়েছে। এর জবাব দিতে গিয়ে দাঙ্গা ছত্রভঙ্গ করার সরঞ্জাম ব্যবহার ও অস্ত্রধারীদের দিকে গুলি করা হয়েছে। সেনারা বেশ কিছু সশস্ত্র দাঙ্গাবাজকে শনাক্ত করে এবং তাদের দিকে গুলি ছোড়ে।

২০২০ সালের তুলনায় গত বছর অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘর ধ্বংস ও দখলের ঘটনা ৩২ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহে ঘটেছে এ ধরনের দুটি ঘটনা। এ কারণে অন্তত ৬৫৬ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৫৯ শিশু।