ইউক্রেনের মারিওপোলে বেশ কিছুদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইতোমধ্যে শহরের অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে খবর মিলেছিল। এর মধ্যে শহরের নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাদের হাতে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছে ‍যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিংক ট্যাংক।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) নামের ওই সংস্থার মূল্যায়নে মারিওপোলের পতন আসন্ন— এমন ধারণা দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।

সংস্থাটি বলছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর নগরী মারিওপোলে রুশ সেনাদের লাগাতার হামলার মধ্যে সামনের সপ্তাহগুলোতে এ শহরের পতন হতে পারে।

আইএসডব্লিউ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেনাদের খুব একটা অগ্রগতি ছিল না। এ তথ্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের মূল্যায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

আইএসডব্লিউ মনে করছে, মারিওপোল ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে ফেলা এবং শহরের আবাসিক এলাকায় হামলা বেড়ে গেলে তবেই পতন হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর নগরীর।

থিংক ট্যাংকটি বলছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার কিয়েভের আশেপাশে রুশ সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে এবং খারকিভে রাশিয়ার অভিযান ব্যর্থ করে দিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এখনও সক্রিয় রয়েছে। শুধু বুধবার রাশিয়ার ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

এদিকে ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের ধারণা, রাশিয়া তার ভান্ডারে থাকা নির্ভুল ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ ব্যবহার করে ফেলেছে।

মারিওপোলে সংঘাত ভয়াবহ রূপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো— এ শহর আজভ সাগরের এমন এক জায়গায় অবস্থিত যা কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া এটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ান বাহিনী এবং পূর্ব ইউক্রেনে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সেনাদের বিভক্ত করে রেখেছে। যদি এ শহর দখলে নেওয়া যায় তবে ক্রিমিয়া পর্যন্ত রুশ সেনাদের অবাধ পদচারণার সুযোগ তৈরি হবে।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা।