তেল উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুটি দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ওপর চাপ প্রয়োগ করছে বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুটি দেশকে তেল উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু পশ্চিমাদের সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে দেশ দুটি। খবর রয়টার্সের।
তেলের জন্য ধরনা দিতে বুধবার সৌদি ও আমিরাত সফরে গেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর এক দিন আগেই অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্কের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল দেশটিতে পৌঁছেছে। তবে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো চলতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ দুটি এখন খুব কমই প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন ডলার বাদ দিয়ে চীনা মুদ্রায় চীনের কাছে তেল বিক্রির পরোক্ষ হুমকিও দিচ্ছে রিয়াদ। দুটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবারই দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন প্রতিনিধি। এ সময় তেল উৎপাদন আরও বাড়াতে এবং ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধে একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে দেশটিকে চাপ দেন তারা। কিন্তু আমিরাতের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক বিশ্নেষক আবদুল খালেক আবদুল্লাহ বলছেন, (সৌদি ও আমিরাতের কাছ থেকে) বরিস জনসনের খুব বেশি আশা করা উচিত নয়। টুইটারে তিনি বলেন, 'বরিস খালি হাতেই ফিরে যাবেন'। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সফরের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি সরকার।