- আন্তর্জাতিক
- মারিওপোলের বাসিন্দাদের জীবন এখন পুতিনের হাতে: মেয়র
মারিওপোলের বাসিন্দাদের জীবন এখন পুতিনের হাতে: মেয়র

মারিওপোলের মেয়র ভাদিম বয়শেঙ্কো। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের মারিওপোল শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও আজভস্টল মিলে ইউক্রেনের বহু সেনা আটকে রয়েছে। সেখানে রয়েছেন কিছু বেসামরিক নাগরিকও। এ ছাড়াও বন্দরনগরীটিতে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন পার করছেন লাখো মানুষ। এ সব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ভাদিম বয়শেঙ্কো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহরটির মেয়র বলেন, ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরটির মানুষের জীবন এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে।
বয়শেঙ্কো জানান, মারিওপোলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশি মানুষ সরিয়ে নিতে না পারায় হতাশ তিনি।
তিনি বলেন, মার্চের প্রথমদিন থেকে শুরু হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ‘সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে নষ্ট করেছে’ রাশিয়া।
বয়শেঙ্কো বলেন, মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ কোন জায়গা থেকে শুরু হবে তারা আমাদের কাছে একটি নকশা চেয়েছিল। আমরা তাদের তা দিয়েছিলাম। এর পর তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করল—আমাদের কাছে কত বাস আছে। আমরা তাদের বাসের সংখ্যা জানালাম। এর পর তারা নকশায় চিহ্নিত করা এলাকা ও বাসগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
মারিওপোলের মেয়র বলেন, শহরে এখনও এক লাখের মতো মানুষ আটকে আছেন। এ ছাড়া আজভস্টল মিলের সেনারা আত্মসমর্পণ করবেন না। এটি বোঝা জরুরি যে, সেখানে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন, তাদের ভাগ্য যার হাতে নির্ভর করছে তিনি হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এখন থেকে যারা মারা যাবেন এ জন্যও তিনি দায়ী থাকবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুতিন জানান, রুশ সেনারা মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর এটি মস্কোর বড় সাফল্য।
বয়শেঙ্কো বলেন, শহরটি দখলে তাদের পরিকল্পনা ছিল না। তাদের পরিকল্পনা ছিল শহরটি ধ্বংস করা। ধারণা করা হচ্ছে, শহরের ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন সব দিক থেকেই বলছি— আমাদের যুদ্ধবিরতি দরকার। মারিওপোলে আটকে পড়া লাখো মানুষকে আমরা সেখান থেকে সরিয়ে নিতে চাই— যারা রুশ সেনাদের হাতে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া আজভস্টল মিলে যারা আছে তাদেরও মুক্ত করতে চাই।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটির সেনারা মারিওপোলে ব্যাপক হামলা চালায়। সম্প্রতি বন্দরনগরীটির প্রায় পুরো শহর দখলে নেওয়ার দাবি করে মস্কো। তবে আজভস্টল মিলে কিছু ইউক্রেনীয় সেনা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের কয়েক দফা আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা করেনি।
বন্দরনগরীটির অবস্থানের কারণে এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ শহরের দখল নিতে পারলে রাশিয়া ক্রিমিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরি করতে পারবে। এর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া।
মন্তব্য করুন