ইউরোপের চার ক্রেতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি অনুযায়ী রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করেছে।

রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম পিজেএসসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবর রয়টার্সের।

তবে অন্য ক্রেতারা ক্রেমলিনের দাবি অনুযায়ী রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ না করলেও মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধের আগে নতুন করে সরবরাহ বন্ধের সম্ভাবনা নেই, জানান তিনি।

তবে এদিন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ না করা হলে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

রাশিয়া বুধবার পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর কারণ হিসেবে জানায়, দেশ দুটি মস্কোর দাবি অনুযায়ী রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অবন্ধু দেশগুলোর’ আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন এ আইন তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধের জন্য ইউরোপের ১০টি কোম্পানি ইতোমধ্যে গ্যাজপ্রম ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে।

ইউরোপে রুশ গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা জার্মানি। এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি চাপে থাকবে এটিই স্বাভাবিক। তবে দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিনা লিন্ডার বলেন, রাশিয়া জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে এমন ইঙ্গিত আমরা পাইনি।

ওই দুই দেশ ছাড়া এখনও ইউরোপের অন্য কোনো দেশ রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কথা জানায়নি।

এর আগে রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর বুধবার মস্কোর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ আনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বলছে, তারা রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

রাশিয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপের ২৩টি দেশে গ্যাস সরবরাহ করে।