- আন্তর্জাতিক
- শ্বশুরবাড়িতে 'বাপের হোটেল'
শ্বশুরবাড়িতে 'বাপের হোটেল'

খোলা হয়েছে এক ভিন্নধর্মী হোটেল । যেখানে খাওয়া যাবে যতখুশি, খেতে গেলে দিতে হবেনা কোনও টাকা পয়সা । আবার সেই হোটেল খোলা থাকছে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই। শুরুর প্রথম দিন থেকেই প্রচুর ভিড় শুরু হয়েছে হোটেলে। কিন্তু মজার এই হোটেলে মানুষ খাবার পরিবেশন করলেও তাদের খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ এটা মানুষের নয়, পশুপাখির হোটেল। নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে ভিন্নধর্মী এই হোটেল উপহার দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা শ্যামল জানা। হোটেলের নাম 'বাপের হোটেল'।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ১নম্বর ব্লকের কুলাইপদিমা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শ্যামল জানা। পশুপ্রেমী-পরিবেশপ্রেমী হিসেবে এলাকায় তার ও তার স্ত্রীর মণিকার বেশ পরিচিতি আছে। গত ২৫ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির আঠিলাগাড়িতে এই হোটেল চালু করেন তারা। প্রথমদিন থেকেই প্রচুর ভিড় শুরু হয়।

তীব্র গরমে 'বাপের হোটেল' এ গিয়ে ইচ্ছে মতো খাবার ও পানীয় জল পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে এরা। হোটেলের মেন্যুতে পশুপাখির জন্য প্রতিদিনই থাকছে কলা, আঙুর, শসা, কাঁচাছোলা, গম, সূর্যমুখী বীজ, ভুট্টা, বাদাম এবং পানীয় জল। খাবারগুলি পরিবেশন করা হয় রংবাহারি নকশা করা, মাটির নানা মাপের পাত্রে। বাড়ির খোলা ছাদে অবস্থিত এই হোটেলটি খোলা থাকছে ২৪ ঘণ্টা । দড়িতে হনুমানদের জন্য সাজানো রয়েছে পাকাকলা।
‘বাপের হোটেল’প্রসঙ্গে শ্যামল বাবু জানান, তার হোটেলে মানুষের বাপের হোটেলের মতই সুখ ভোগ করবে পশু পাখিরা। কাজ না করে, বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েও মিলবে খাবার।
তিনি আরও জানান, বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে খুব দামি উপহার দেওয়ার সাধ্য তার নেই। স্ত্রীকে খুশি করতে আর প্রচণ্ড দাবদাহে জীবসেবা করতে তাই অভিনব এই হোটেল খুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, বিবাহবার্ষিকী এবার তিনে পা দিল। তার স্ত্রী মণিকা জানান, স্বামীর এমন কাজকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবসময়ই সমর্থন জানান তিনি।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, শ্যামল এই হোটেল খুলেছেন নিজের শ্বশুরবাড়িতে । এদিকে, বিনা বাধায় 'বাপের হোটেলে' খাবার পেয়ে শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে কাক , কুকুর থেকে শুরু করে হনুমানের দলও। শ্যামলের এই কাণ্ড দেখে অনেকে হাঁসছেন, আবার নেটিজেন থেকে শুরু করে সহকর্মীরা তার প্রশংসা করে সাহসও জোগাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন