শ্রীলঙ্কায় রাস্তায় রাস্তায় সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। আর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কারফিউ তুলে নেওয়ার পর সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। দুপুর ২টা থেকে পুনরায় কারফিউ কার্যকর করা হবে। সূচি অনুযায়ী এই সীমিত সময়ের মধ্যে ট্রেনও চলবে। 

দেশটির বেসরকারি বাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান জেমুনু উইজেরাথনে বলেছেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত বাস চালিয়ে যতটুকু সম্ভব জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে বাস মালিকদের বলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এই তথ্য জানায়। অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত সংখ্যক বাস ও ট্রেন চলাচল করলেও, দূরপাল্লার কোনো রুটে আজ বাস বা ট্রেন চলবে না। এ ছাড়া রাস্তায় সীমিত সংখ্যক ব্যক্তিগত যানও চলাচল করছে। 

এদিকে রেলওয়ে বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার দম্মিকা জয়াসুন্দরা আজ সকালে বলেছেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বল্পপাল্লার কিছু রুটে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল করা হয়েছে। এই সীমিত সংখ্যক ট্রেন ভেয়ানগোডা, দক্ষিণ কালোতারা এবংপ্যানাডুরার মধ্যে চলাচল করবে। 

প্রসঙ্গত,  গত ৯ মে সোমবার অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভে সরকারপন্থিরা হামলা করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।  উত্তেজিত জনতা রাজাপাকসে পরিবাবে ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি ও সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এমনকি তারা মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনেও হামলায় চালায়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি আটকা পড়েন। পরে সেনা সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। 

এদিকে সোমবারই সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার পর্যন্ত দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়। পরে কারফিউ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।