পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আকাদেমির সাহিত্য পুরস্কার লাভের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ক্ষমতাসীন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শুভাপ্রসন্নের।

বাংলা আকাদেমির সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ায় মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে তিনিও মমতাকে সংবর্ধনা দিতেন। শুভাপ্রসন্নের এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগেমধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তিন দিন পার হয়ে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে এখনও আলোচনা ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। তবে বাংলা আকাদেমির সভাপতি, নাট্যব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং আকাদেমি সদস্য কবি সুবোধ সরকার পুরস্কারের যৌক্তিকতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব।

এবার তাদের হয়ে ব্যাট ধরলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। মমতাকে বাংলা আকাদেমির সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করায় বিচারকমণ্ডলী বা জুরিবোর্ড সদস্যদের প্রশংশা করেছেন মমতার অনুরাগী হিসেবে রাজ্যজুড়ে পরিচিত কলকাতার এই বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী।

মমতার পদক প্রাপ্তির ঘটনায় চারদিকে ওঠা বিতর্কের মাঝে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভাপ্রসন্ন বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ থাকলে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ এসে মমতাকে সংবর্ধনা দিতেন। রবীন্দ্রনাথ এদের মতো ঈর্ষাকাতর ছিলেন না।’

গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির প্রবর্তিত সাহিত্যে সাহিত্য পুরস্কার পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এই পদক দেওয়া হয়। মমতার এই পদক পাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ একটি খোলা চিঠি দিয়ে মামতার পদকপ্রাপ্তির কড়া সমালোচনা করেছেন। খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, ‘বাংলা আকাদেমি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের সম্পত্তি। আকাদেমির কার্যকলাপ পরিচালনার বিষয়ে জনসাধারণের কাছে সরকার দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে পুরস্কার দেওয়া হলো তাতে সরকারি ক্ষমতার গুরুতর অপব্যবহার করা হয়েছে।’