- আন্তর্জাতিক
- ‘জ্বর’ ঠেকাতে সেনা নামাচ্ছেন কিম
‘জ্বর’ ঠেকাতে সেনা নামাচ্ছেন কিম

কিম জং উন
প্রতিদিনই উত্তর কোরিয়া ‘জ্বরাক্রান্ত’ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশজুড়ে গুরুতর অবস্থা সামাল দিতে এবার সেনাসদস্য কাজে লাগানোর দিকে ঝুঁকলেন শাসক কিম জং উন। খবর রয়টার্সের।
বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন দেশটি প্রথমবারের মতো গত সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায়। পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এতদিন ধরে দেশটি দাবি করে আসছিল, সেখানে কোনো করোনা নেই।
প্রথম মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত দেশ জুড়ে কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির প্রশাসন জানিয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
যদিও দেশটির সরকারি মুখপাত্ররা দেশজুড়ে জ্বরের কথা বলছেন, তবে অনেকেই বলছেন এই জ্বর আসলে মহামারি করোনাভাইরাস।
এদিকে, করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে দেশটির নেতা কিম জং উন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং ওষুধ বিতরণে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করোনা সংক্রান্ত ‘গুরুতর ঘটনার’ জন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছিলেন কিম। এর পর সেপ্টেম্বরে স্যুট ও মাস্ক পরা একদল সেনা সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
এটি দেখার পর কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের একেবারে শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। তখন থেকেই উত্তর কোরিয়া বলে আসছিল, সেখানে করোনার অস্তিত্ব নেই।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার সক্ষমতা খুবই কম, তাই সামান্যসংখ্যক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। টিকার অভাব ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে উত্তর কোরিয়ার জনগণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশটিতে লকডাউন চলছে।
এদিকে সামরিক বা কূটনৈতিক দিক থেকে যতই বিরোধ থাক না কেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির এই দুঃসময়ে মানবিক সাহায্যের আশ্বাস নিয়ে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল গতকাল সোমবার বলেন, উত্তর কোরিয়া যদি সাড়া দেয় (সাহায্য নিতে), তাহলে কোভিড টিকা-সহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং স্বাস্থ্যকর্মী— সব কিছুই পাঠানোর ব্যবস্থা করতে আমরা প্রস্তুত। পাশাপাশি এই সময়ে উত্তর কোরিয়ার জন্য সহযোগিতা আরও কী কী ভাবে বাড়ানো যায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও সে প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান প্রেসিডেন্ট সুক-ইয়োল। এই সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসছেন বাইডেন।
মন্তব্য করুন