যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার দু'বছর পার হবে আগামী ৮ নভেম্বর। এদিন এক মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট দেবেন ভোটাররা। দেশটির প্রসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে এ নির্বাচন হওয়ায় একে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়। এ নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বাইডেনের ভবিষ্যৎ। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন ৫৩৫ জন আইন প্রণেতা, যারা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসের আছে দুটি কক্ষ- সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। আইন তৈরির জন্য কংগ্রেসের এই দুটি কক্ষ একসঙ্গে কাজ করে। বর্তমানে কংগ্রেসের সব সদস্য হয় ডেমোক্রেটিক পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টি থেকে আসা। ডমোক্র্যাটরা এখন কংগ্রেসের দুটি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। তবে তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ভোটে। ফলে এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে কাজ করতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি।

কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের কোনো একটি কক্ষে বা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তখন তারা বাইডেনের যে কোনো পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারবেন। নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে, সেখানে রিপাবলিকানরা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের পাঁচটি অতিরিক্ত আসন জিততে হবে। সিনেটে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরও তীব্র। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সিনেটে দুই দলেরই ৫০ জন করে সদস্য।

কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা সিনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কারণ কোনো ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সমান ভোট পড়লে তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হারজিত নির্ধারণের জন্য তার ভোট প্রয়োগ করতে পারেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য রিপাবলিকানদের মাত্র একটি বাড়তি আসন জিততে হবে। সিনেটের যে আসনগুলোতে এবার নির্বাচন হবে, সেখানে কারা প্রার্থী হবেন, তা নির্ধারণের জন্য প্রাইমারি নির্বাচন হবে মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে।