বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আবারও ১৪ দিনের কারা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২১ জুন ফের তাদের কলকাতা নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল সিবিআই-৩ কোর্টের জীবন কুমার সাধুর এজলাসে তোলা হবে।

এর আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। জিজ্ঞাসাবাদের সেই বয়ান রেকর্ডও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় ইডি। আদালতে ইডি জানায়, পি কে হালদারের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্যাশ রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় সাতটি ফ্লাটসহ প্রায় ৪০টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি।

পি কে হালদারসহ বাকি অভিযুক্তরা হলেন, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।

গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এসময় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় ইডি।

১৩ দিনের ইডি রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আদালত তাদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তখন কারাগার গিয়েও পি কে হালদারকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে ইডি বা কারাগার কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে রাজি হয়নি।

তবে পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা গোটা ভারতজুড়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। তাদেরকে জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাতের একটা বিশাল অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আবাসন খাতে। কলকাতা এবং তার উপকণ্ঠে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ পাওয়া গেছে যেগুলো পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের হাতেই গড়ে উঠেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগিরা- কেউই দেখাতে পারেননি।