বিমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেতিবাচক সনদ দেখানোর নিয়ম স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠার একদিনের মধ্যে বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেতিবাচক সনদ দেখানোর নিয়ম ছিল। রোববার (১২ জুন) থেকে এই বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে বলে বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র শুক্রবার ঘোষণা করেছে, করোনা টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রোববার থেকে থাকছে না। স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এটি মহামারির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে এবং পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার পুনরায় মূল্যায়ন করবে। ইউএস হেলথ সেক্রেটারি জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রগতি হয়েছে। ফলে এ পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়েছে।’

এয়ারলাইন্স এবং পর্যটন সংস্থাগুলো করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করার জন্য কয়েক মাস ধরে প্রশাসনকে চাপ দিয়ে আসছিল। তারা বলেছেন, এটি ভ্রমণকারীদের নিরুৎসাহিত করে। কারণ ভ্রমণের সময় করোনায় আক্রান্ত হলে তারা বিদেশে আটকে পড়তে পারে এই আশঙ্কা থাকে। ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রজার ডাও করোনা পরীক্ষার নিয়ম তুলে নেয়াকে ‘অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণের পুনরুদ্ধার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রত্যাবর্তনের জন্য আরেকটি বিশাল পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) পরিসংখ্যান অনুসারে, পাঁচ এবং তার বেশি বয়সীদের ৭১ শতাংশকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেয়া হয়েছে। স্থল সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী ব্যক্তিদের করোনার নেগিটিভ শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। যদিও তাদের অবশ্যই টিকা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।

সংক্রামক-রোগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তারা সিডিসির সিদ্ধান্তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন এবং এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের আর বিস্তার ঘটার আশংকা নেই।

ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির ডক্টর উইলিয়াম শ্যাফনার বলেছেন, নিয়মটি তৈরি করা হয়েছিল ভাইরাস আমদানি রোধ করার জন্য। ‘তবে আমাদের এখানে কোভিড রয়েছে। এটা কাউকে তাদের সুইমিং পুলে এক বালতি জল না ঢালতে বলার মতো।’