মিল্ক্কিওয়ের প্রায় দুই মিলিয়ন তারা জরিপ করে গতকাল সোমবার সেটির বিস্তারিত প্রকাশ করেছে গাইয়া মহাকাশযান। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) জানিয়েছে, তারকারাজির এমন বিস্তারিত তথ্য আগে কখনোই উন্মোচিত হয়নি।

গাইয়ার অনুসন্ধানে তারকারাজির রহস্যময় 'কম্পন'-এর একটি বিস্তারিত চিত্র ফুটে উঠেছে, বিজ্ঞানীরা যেটিকে 'তারকাকম্প' বলে অভিহিত করেছেন। সুনামির মতো এই কম্পনের কারণে মহাকাশে তারকারা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। গাইয়ার এই অভিযানের তথ্যের জন্য বিশ্বের সব জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। খবর এএফপির।

ইএসএ মহাপরিচালক জোসেফ অ্যাশবাচার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজকের দিনটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। এসব তথ্য মহাবিশ্বের নতুন নতুন অনুসন্ধানের পথ খুলে দেবে।

গাইয়া দলের একজন সদস্য ফ্রাঙ্কোইস মিগনার্ড বলেন, আমাদের মহাকাশযান সৌরজগতের ১৫৬,০০০-এরও বেশি গ্রহাণু অতুলনীয় নির্ভুলতার সঙ্গে গণনা করেছে। কিছু কিছু ছবি এতই পরিস্কার এসেছে যে, মনে হচ্ছে তারকাটি আমাদের বাড়ির পাশে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে দেড় মিলিয়ন কিলোমিটার (৯৩৭,০০০ মাইল) দূরে অবস্থান করে এই ছবি তুলতে পারা অবিশ্বাস্য। আর নক্ষত্রের আকৃতি পরিবর্তনকারী বিশাল কম্পনের বিষয়টি নতুন অনুসন্ধান থেকে বেরিয়ে আসা সবচেয়ে আশ্চর্যজনক আবিস্কারগুলোর মধ্যে একটি।