- আন্তর্জাতিক
- রাশিয়ার আল্টিমেটাম আমলেই নিল না ইউক্রেনের সেনারা
রাশিয়ার আল্টিমেটাম আমলেই নিল না ইউক্রেনের সেনারা

ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের আজত কেমিক্যাল প্ল্যান্টে থাকা দেশটির সেনাদের আত্মসমর্পণে রাশিয়া যে আল্টিমেটাম দিয়েছিল তা তারা আমলেই নেয়নি। এখনও তারা প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেন, আমাদের সেনারা শত্রুদের অগ্রযাত্রা আটকে রেখেছে। তবে শত্রুরা সাফল্য পাচ্ছে তাদের আর্টিলারি ও সেনা সংখ্যার কারণে। তবে আমাদের সেনারা এখনও তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
এর আগে রাশিয়া আজত প্ল্যান্টে থাকা ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিল।
ইউক্রেন বলছে, পাঁচশ’র বেশি মানুষ সেনাদের সঙ্গে আজত কেমিক্যাল প্ল্যান্টে আটকে পড়েছে। সেখানে ৪০ জন শিশুও রয়েছে।
মস্কো জানিয়েছে, তারা আজত প্ল্যান্ট থেকে বেসামরিক নাগরিকদের বের হওয়ার জন্য একটি মানবিক করিডোর খুলেছে। এর মাধ্যমে তারা রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যেতে পারবেন।
এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে রুশ পরিকল্পনা ব্যাহত করা ও বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে মস্কো। যদিও ইউক্রেন তা অস্বীকার করেছে।
এ শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। যদিও এখন তাদের হাতেই রয়েছে শহরটির বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ।
সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো লুহানস্ক শহর চলে যাবে মস্কোর হাতে। যদিও আগে থেকেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
টেলিগ্রামে শহরটির মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক জানান, এখনও শহরের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে রয়েছে।
রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। প্রথমদিকে রুশ সেনারা কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেলেও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় পরিবর্তন এসেছে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায়। জানানো হয়, এখন দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেন দখলই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য।
এর পরই এ অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাতে থাকে রুশ সেনারা। এর মধ্যে বড় ধরনের সাফল্য ধরা দেয় তাদের হাতে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর বন্দরনগরী মারিওপোল নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় রাশিয়া। এখন দেশটি দোনবাসের লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।
মন্তব্য করুন