- আন্তর্জাতিক
- লুহানস্কও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে
লুহানস্কও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে

যুদ্ধের ময়দানে ধুঁকতে থাকা ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থী করতে বৈঠকে বসেছে জোটের ২৭ দেশ। আজ শুক্রবার শেষ হতে যাওয়া দুই দিনের এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হবে কিয়েভ প্রার্থিতা পাবে কিনা। বহুল কাঙ্ক্ষিত এই স্ট্যাটাস পেতে ইউরোপীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফোনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি। এর পক্ষে-বিপক্ষে ব্রাসেলসে যখন জোর আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড হারাচ্ছে জেলেনস্কির দেশ। যে কোনো মুহূর্তে পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাসের দ্বিতীয় প্রধান অঞ্চল লুহানস্ক রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি অ্যারেস্টোভিচ।
ইইউর বৈঠকে জোরালো সমর্থন পেতে জোটের প্রভাবশালী নেতাদের ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি দোনবাস রক্ষায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র আরও অধিক পরিমাণে পাঠানোর আকুতি জানাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, দোনবাসে ভয়ংকর সব সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে রাশিয়া। পুতিনের সৈন্যরা অঞ্চলটি ধ্বংস না করে ছাড়বেন না।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি বলেছেন, লুহানস্কের ডোনেটস নদী তীরবর্তী দুটি নগরী সেভেরোডনেটস্ক ও লাইসিচানস্ক এখন গর্ভাবস্থার শেষ সময় চলছে। যে কোনো সময় এর ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যাবে। রুশ সৈন্যরা এলাকা দুটিতে ধীরে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে এগোচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্নিষ্ট ময়দানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে ইউক্রেন সৈন্যদের কয়েকটি ইউনিটকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলেও এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেভেরোডনেটস্ক ও লাইসিচানস্কের পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লুহানস্কের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে রাশিয়ার হাতে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সৈন্যরা একদিকে লুহানস্ক দখলে শেষ সময়ের লড়াই করছেন, অন্যদিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দোনবাসের অন্য এলাকাগুলোর দিকে। ঠিক করা হচ্ছে পরবর্তী লক্ষ্যও। দোনবাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে হয়তো তাঁরা আরও উত্তরে খারকিভের দিকে এগোবেন। কারণ, ইতোমধ্যে সেখানে হামলা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে রুশ হামলায় অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর।
দোনবাসে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে; সেখানে অধিকাংশ বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অনেকের ঘরে নেই প্রয়োজনীয় খাবারও। সবমিলিয়ে বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে সংশ্নিষ্ট গভর্নর জানিয়েছেন। তবে পূর্বাঞ্চলীয় এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রক্ষায় মধ্যাঞ্চলীয় জাফোরিজজিয়ার নারীদের হাতে কালাশনিকভ তুলে দেওয়া হচ্ছে। সম্মুখযুদ্ধে লড়তে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে পুরোদস্তুর প্রশিক্ষণ।
রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আগামী সপ্তাহে জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন। গতকাল দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মস্কোর ওপর আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্য নেতারা আলোচনা করবেন। তবে পশ্চিমারা অর্থনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করায় বিকল্প পথে বাণিজ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। তিনি চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে 'নির্ভরযোগ্য' আন্তর্জাতিক অংশীদার দাবি করে ব্রিকসের ভার্চুয়াল সামিটে এই ঘোষণা দেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাবারের দামে যে প্রভাব পড়েছিল তাতে কিছুটা স্বস্তি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা ও মস্কো। গতকাল রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা মারিউপোলের আজভ সাগরীয় বন্দর থেকে তুরস্কের একটি কার্গো জাহাজ ছেড়ে গেছে। যুদ্ধের কারণে লাখ লাখ টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনে আটকে থাকায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এর অবসান ঘটাতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক ও রাশিয়া। এদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির কাছ থেকে দখল করে নেওয়া কালিনিনগ্রাদ নিয়ে লিথুনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এএফপি, আলজাজিরা।
ইইউর বৈঠকে জোরালো সমর্থন পেতে জোটের প্রভাবশালী নেতাদের ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি দোনবাস রক্ষায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র আরও অধিক পরিমাণে পাঠানোর আকুতি জানাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, দোনবাসে ভয়ংকর সব সমরাস্ত্র মোতায়েন করছে রাশিয়া। পুতিনের সৈন্যরা অঞ্চলটি ধ্বংস না করে ছাড়বেন না।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি বলেছেন, লুহানস্কের ডোনেটস নদী তীরবর্তী দুটি নগরী সেভেরোডনেটস্ক ও লাইসিচানস্ক এখন গর্ভাবস্থার শেষ সময় চলছে। যে কোনো সময় এর ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যাবে। রুশ সৈন্যরা এলাকা দুটিতে ধীরে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে এগোচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্নিষ্ট ময়দানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে ইউক্রেন সৈন্যদের কয়েকটি ইউনিটকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলেও এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেভেরোডনেটস্ক ও লাইসিচানস্কের পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লুহানস্কের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে রাশিয়ার হাতে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সৈন্যরা একদিকে লুহানস্ক দখলে শেষ সময়ের লড়াই করছেন, অন্যদিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দোনবাসের অন্য এলাকাগুলোর দিকে। ঠিক করা হচ্ছে পরবর্তী লক্ষ্যও। দোনবাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে হয়তো তাঁরা আরও উত্তরে খারকিভের দিকে এগোবেন। কারণ, ইতোমধ্যে সেখানে হামলা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে রুশ হামলায় অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর।
দোনবাসে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে; সেখানে অধিকাংশ বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অনেকের ঘরে নেই প্রয়োজনীয় খাবারও। সবমিলিয়ে বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে সংশ্নিষ্ট গভর্নর জানিয়েছেন। তবে পূর্বাঞ্চলীয় এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল রক্ষায় মধ্যাঞ্চলীয় জাফোরিজজিয়ার নারীদের হাতে কালাশনিকভ তুলে দেওয়া হচ্ছে। সম্মুখযুদ্ধে লড়তে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে পুরোদস্তুর প্রশিক্ষণ।
রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আগামী সপ্তাহে জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন। গতকাল দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মস্কোর ওপর আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্য নেতারা আলোচনা করবেন। তবে পশ্চিমারা অর্থনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করায় বিকল্প পথে বাণিজ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। তিনি চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে 'নির্ভরযোগ্য' আন্তর্জাতিক অংশীদার দাবি করে ব্রিকসের ভার্চুয়াল সামিটে এই ঘোষণা দেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাবারের দামে যে প্রভাব পড়েছিল তাতে কিছুটা স্বস্তি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা ও মস্কো। গতকাল রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা মারিউপোলের আজভ সাগরীয় বন্দর থেকে তুরস্কের একটি কার্গো জাহাজ ছেড়ে গেছে। যুদ্ধের কারণে লাখ লাখ টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনে আটকে থাকায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এর অবসান ঘটাতে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক ও রাশিয়া। এদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির কাছ থেকে দখল করে নেওয়া কালিনিনগ্রাদ নিয়ে লিথুনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এএফপি, আলজাজিরা।
মন্তব্য করুন