ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে চলছে টালমাটাল অবস্থা। সেখান জোট সরকার পতনের মুখে পড়েছে। ক্রমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে একনাথ সিন্ধের পক্ষ। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে ভরসা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার গৌহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তারপরই সমঝোতার প্রশ্ন। দলের বিধায়কদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন তাঁদের দিকে রয়েছে বলে দাবি করেছেন সিন্ধে। এরই মধ্যে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, সিন্ধে পক্ষের ২০ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দল। এদিকে মহারাষ্ট্রে অনৈতিকভাবে বিজেপি সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধবের হয়ে সুবিচার চেয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভি ও এএনআইয়ের।
এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা সিন্ধের সঙ্গে বর্তমানে ৩৪ জন শিবসেনা বিধায়ক আছেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিবসেনার আরও কয়েকজন বিধায়ক গিয়ে উঠেছেন আসামের রাজধানী গৌহাটির র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে। এর ফলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে থাকা বিধায়কদের সংখ্যা আরও কমলো।
বিদ্রোহী শিবিরের পক্ষে বৃহস্পতিবার গৌহাটির হোটেলে বিজেপির হেফাজতে থাকা ৪২ জন বিধায়কের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে উদ্ধবের বৈঠকে মাত্র ১৪ জন শিবসেনা বিধায়ক হাজির ছিলেন বলে একটি সূত্রের দাবি।
এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন সুবিচারের দাবি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে 'বুলডোজ' করতে চাইছে বিজেপি সরকার। বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এভাবে ইডি, সিবিআই আর টাকা দিয়ে দল ভাঙবেন না। এটা আপনাদের সঙ্গেও হতে পারে। এই প্রথম মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা।
গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, অনৈতিক ও অসাংবিধানিকভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এ কাজে বিজেপি ব্যবহার করছে মানি-মাসল আর মাফিয়া শক্তি।