- আন্তর্জাতিক
- মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল হামজা শাহবাজ, আদালতে যাবে পিটিআই
মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল হামজা শাহবাজ, আদালতে যাবে পিটিআই

হামজা শাহবাজ
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে দিনভর নাটকীয়তার পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদে বহাল রাখা হয়েছে।
যদিও জোটগতভাবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রাদেশিক পরিষদে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরিষদের ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মাজারি জোটের শরিক পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের (পিএমএল-কিউ) ১০টি ভোট বাতিল করে দিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এ) প্রার্থী হামজা শাহবাজকেই বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এই ঘটনাকে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। খবর জিও নিউজ ও ডনের
মুখ্যমন্ত্রী পদে পুনরায় ভোট গ্রহণে আদালতের নির্দেশের পর শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় পরিষদের অধিবেশন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।
মুখ্যমন্ত্রী পদে জোটের শরিক পিএমএল-কিউ দলের নেতা চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে প্রার্থী করে পিটিআই। তিনি পান ১৮৬ ভোট। আর পিএমএল-এন প্রার্থী হামজা শাহবাজ পান ১৭৯ ভোট। কিন্তু সংবিধানের ৬৩ (এ) অনুচ্ছেদের বরাতে পিএমএল-কিউ দলের ১০ সদস্যের ভোট বাতিল করে দেন ডেপুটি স্পিকার।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, পিএমএল-কিউ প্রধান চৌধুরী সুজাত হোসেন তার দলের সদস্যদের ভোট না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর দলের মতের বাইরে গিয়ে ভোট দিলে সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং হামজা শাহবাজ তিন ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে পিটিআই নেতা রাজা বাশারাত দ্বিমত পোষণ করলে বিতর্কের এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করেন এবং পিটিআই ও পিএমএল-কিউকে তাদের আপত্তি নিয়ে ‘আদালতের দ্বারস্থ’ হতে বলেন।
পুরো ঘটনাকে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। পিটিআই নেতা আসাদ উমর জানান, বিষয়টি নিয়ে তার দল সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
গত রোববার পাঞ্জাবের ২০টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে ১৫টিতেই জয় পায় পিটিআই। বাকি পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে পিএমএল-এন ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। এরপর লাহোর হাইকোর্ট ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে ভোটাভুটি করতে নির্দেশ দেন। ভোটে পদ টিকিয়ে রাখতে পিএমএল-কিউপ্রধান চৌধুরী সুজাতের সঙ্গে শাহবাজের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলি জারদারি বৈঠক করেন। তার সঙ্গে বৈঠকের পরই চৌধুরী সুজাত নিজ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
মন্তব্য করুন