আগামীকাল সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি নির্ধারণ হবে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং একই দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসের পাল্লাই ভারী বলে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা।

বরিসের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটিতে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে গত দুই মাসের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ভার্চুয়ালি ও ডাকযোগে কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যদের ভোটাভুটি চলে। তা শেষ হয়েছে শুক্রবার বিকেল ৫টায়। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর এক দিন পরই ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন জনসন।

গতকাল ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পর এক বিবৃতিতে লিজ ট্রাস বলেন, 'আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে এমন একটি পরিকল্পনা আমার আছে। এতে উচ্চ মজুরির পাশাপাশি পরিবারগুলোর জন্য আরও বেশি নিরাপত্তা ও বিশ্বমানের জনসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে কখনোই কাউকে আমাদের (দেশ) ছোট করে কথা বলতে দেব না। আমাদের দেশের সাফল্য নিশ্চিত করতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব।'

এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের পরিকল্পনাকে 'বেপরোয়া' বলে উল্লেখ করে ৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাক বলেছেন, ট্রাসের পরিকল্পনা দেশে মূল্যস্ম্ফীতি আরও বাড়িয়ে দেবে এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও বাজারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে। তিনি বলেন, দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী হিসেবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁর যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা দিয়ে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তিনিই সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারবেন।

করোনার সময় কভিড বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে ডাউনিং স্ট্রিটে মদপানের পার্টি আয়োজন করে চরম বিতর্কে পড়েন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপর নিজের ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে বাধ্য হয়ে গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। বিবিসি।