- আন্তর্জাতিক
- রুশদের দখলে থাকা ৩৮৫ বর্গমাইল এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি জেলেনস্কির
রুশদের দখলে থাকা ৩৮৫ বর্গমাইল এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি জেলেনস্কির
কিয়েভে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: আল-জাজিরা
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তাঁদের সামরিক বাহিনী এক সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ ও দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের ৩৮৫ বর্গমাইল এলাকা (১ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি) রুশ বাহিনীর দখল থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বসতি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, খারকিভ অঞ্চলে রুশ সেনাদের হাত থেকে ইউক্রেনীয়রা ৩০টি বসতি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউক্রেনীয় সেনারা ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা খারকিভের দক্ষিণে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বালাক্লিয়া ঘিরে রেখেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক খবরে স্বীকার করা হয়, খারকিভে 'উল্লেখযোগ্য জয়' পেয়েছে কিয়েভ। এ প্রেক্ষাপটে ওই অঞ্চলে হামলা জোরদার করতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে মস্কো। খবর আলজাজিরা এবং এএফপির।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে একের পর এক শহর ইউক্রেন সরকারের হাতছাড়া হলেও সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে তারা বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। বিশেষ করে দোনবাস অঞ্চলে তারা শক্তিশালী রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিরোধের মুখে রুশ সীমান্তের কাছের শহর ওডেসা এখনও ইউক্রেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যুদ্ধে প্রাণহানির পাশাপাশি ইউক্রেনে অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন সরকার, ইউরোপীয় কমিশন ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণে ৩৪৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
এদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক আকস্মিক সফরে শনিবার কিয়েভ পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি বার্লিনের সমর্থন অটুট থাকবে।
এটি ইউক্রেনে তাঁর দ্বিতীয় সফর এবং ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগালের বার্লিন সফরের এক সপ্তাহ পর তিনি এ সফরে এলেন। তিনি কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এক বিবৃতিতে বেয়ারবক বলেন, তাঁরা অস্ত্র, মানবিক ও আর্থিক সহায়তার সঙ্গে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনের পাশে থাকবেন। ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেন তিনি। এ প্যাকেজে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম, পিকআপে বসানো রকেট লঞ্চার ও অ্যান্টি-ড্রোনের মতো ভারী অস্ত্রও রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে বেয়ারবক বলেন, পুতিন মনে করেন, তিনি আমাদের সমাজকে মিথ্যা দিয়ে বিভক্ত করতে পারবেন এবং জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবেন। তাঁর এ হিসাব অবশ্যই কাজে আসবে না।
মন্তব্য করুন