- আন্তর্জাতিক
- এই ভানুকাই অবসর নিয়েছিলেন
এই ভানুকাই অবসর নিয়েছিলেন

ফাইনালের মধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকে ভানুকা রাজাপাকসের পরিবারের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছিলেন। দুই দশক শ্রীলঙ্কাকে শাসন করা মাহিন্দা-গোটাবায়া রাজাপাকসে পরিবারের কেউ নন তো তিনি? না, শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া বানানো ওই স্বৈরশাসক 'রাজাপাকসে'দের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই; বরং গত মার্চ-এপ্রিলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেওয়া ক্রিকেটারদের একজন এই ভানুকা। সেই থেকে সাধারণ লঙ্কানদের মধ্যে একটা জনপ্রিয়তা তো ছিলই, তবে এশিয়া কাপের ফাইনালের পর দ্বীপরাষ্ট্রটির মানুষ তাদের হৃদয়ে এই ভানুকা রাজাপাকসেকে রাজার আসনে বসিয়েছে। কলম্বো-গলের রাস্তায় রাস্তায় রাতব্যাপী পাগলাটে উদযাপনে স্লোগান উঠেছে রাজাপাকসের নামে।
একজন প্রকৃত রাজার মতো ভানুকা রাজাপাকসেও এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। এই শিরোপা দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার, 'দুই দশক আগেও ক্রিকেটবিশ্বে আমরা শাসন করতাম। আমাদের আগ্রাসন যে আবার ফিরে এসেছে, সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার খুবই দরকার ছিল। দেশে যে কঠিন সময় চলছে, তার মধ্যে এই জয় দিয়ে আমরা মনে হয় তাদের মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাতে পেরেছি। সেটা ভেবেই গর্বিত আমি। গোটা দেশকে এই ট্রফি উৎসর্গ করছি।'
তবে এই ভানুকা রাজাপাকসের কিন্তু এশিয়া কাপে খেলারই কথা ছিল না। লঙ্কান বোর্ডের কিছু নিয়মকানুনে বিরক্ত হয়ে ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত বছর খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও ফিল্ডিং উন্নতিতে কিছু মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছিলেন তৎকালীন কোচ মিকি আর্থার। ভোজনরসিক ও নাদুসনুদুস রাজাপাকসে থোড়াই এসব পরোয়া করেন। ওজন কমাননি বলে একপর্যায়ে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। তখন বোর্ডের সমালোচনা করায় তাঁকে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। সে কারণেই অবসরের চিঠি দিয়েছিলেন। তবে লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুরোধে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন তিনি। সেই ভানুকা এখন দলের তো বটেই, পুরো শ্রীলঙ্কাবাসীর নয়নের মণি।
মন্তব্য করুন