থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এক প্রদেশে শিশুদের জন্য পরিচালিত একটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি শিশু জীবিত আছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক নান্তিচা পাঁচুম।

বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, সাধারণত দিবাযত্ন কেন্দ্রে ৯২ জন শিশু উপস্থিত থাকে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ মাত্র ২৪ জন শিশু, পাঁচ শিক্ষক, একজন গৃহকর্মী ও আমি উপস্থিত ছিলাম।

তিনি জানান, আক্রমণের কিছুক্ষণ আগে তিনি শিশুদের ঘুমাতে পাঠিয়েছিলেন এবং দুপুরের খাবার তৈরি করতে গিয়েছিলেন। তখনই তিনি পাঁচটি গুলির শব্দ শুনতে পান। 

বিবিসি বলছে, থাই পুলিশের এক বিবৃতি জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরাও রয়েছেন। হামলাকারী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।

স্থানীয় পুলিশে বরাতে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলার পর হামলাকারী নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গুলি করে হত্যা করে পরে নিজে আত্মহত্যা করেন।

হামলাকারী সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম পান্যা কামরাব। তার বয়স ৩৪ বছর। হামলার পর পর তাকে সাদা রঙের একটি পিকআপ ট্রাক নিয়ে পালাতে দেখা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।