- আন্তর্জাতিক
- খাল উদ্ধারে যে কোনো দিন অভিযান
খাল উদ্ধারে যে কোনো দিন অভিযান

ফাইল ছবি
কালন্দী খাল দখলে ৩৪ জনের জড়িত থাকার কথা তদন্তে উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে মামলাও হয়েছে। যে কোনো দিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা।
এরই মধ্যে অবৈধ দখলদারদের কাছে নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। এর পরও টনক নড়েনি দখলদাদের।
কালন্দী খালটি আখাউড়া শহরের বুক চিরে তিতাস নদীতে পতিত হয়েছে। খালের পাড়ে আখাউড়ার শহর। এক সময় খালের কারণে শহরটির চাকচিক্য মানুষকে মুগ্ধ করত। বর্তমানে শহরে পা রাখলে বোঝার উপায় নেই যে, খালের পাড়ের শহর এটি। কোনো কোনো স্থানে খালের অস্তিত্ব নেই। খাল দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। খালের ওপর অনেকেই আরসিসি পিলার দিয়ে দোকানঘর ও বাড়ি নির্মাণ করেছে।
উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জানা গেছে, কালন্দী খালে কে কী পরিমাণ ভূমি দখল করে কী নির্মাণ করেছে, তা মাপজোখ করে ৩৪ জন অবৈধ দখলদারের তালিকা তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিস। তালিকাটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়। পরে মামলা করা হয়।
জানা গেছে খালটি রাধানগর, আখাউড়া মৌজার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তিতাস নদীতে। বিএস জরিপে খালটি সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হয়। খালটি এসএ ১৩৯ দাগ রূপান্তরিত হয়ে বিএস ২৬৩ দাগের খাল হিসেবে সৃজন হয়। খালটি রাধানগর মৌজার বিএস ম্যাপে পশ্চিমদিকে ৩৭ ফুট প্রস্থ ও পূর্বদিকে ৩১ ফুট প্রস্থ উল্লেখ রয়েছে। মাঝখানে ২১ ফুট প্রস্থও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে উপজেলার সামনে থেকে ঢাকা হোটেলের পূর্বদিক পর্যন্ত এর চিত্র ভিন্ন। এর মধ্যে কোনো কোনো দিকে ১০ থেকে ১৫ ফুট খাল খুঁজে পাওয়াও মুশকিল হবে। তবে থানা সেতুর পর থেকে পশ্চিমদিকে বেশি দখল হয়েছে। অন্যদিকে বিএস জরিপের সময় খালপাড়ের ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামেও রেকর্ড করা হয়েছে।
আখাউড়ার কলেজপাড়ার বাসিন্দা মানজারুল হক মানিক বলেন, 'খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারণে শুধু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি, পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। ভারত থেকে আসা দূষিত পানি ও আমাদের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে জমাট ও দখল হওয়ায় খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। যার কারণে পানি আটকে থাকছে। ফলে খালের পানি দূষিত হচ্ছে। এই দূষিত পানির কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।'
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলুর ভাষ্য, আগে কালন্দী খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় মরে গেছে। পানি চলাচল করতে না পারার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আখাউড়ার কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যায়। তাই খালটি দখলমুক্ত করে জরুরি ভিত্তিতে খনন করা প্রয়োজন।
আখাউড়ার পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল জানান, কালন্দী খাল দখলমুক্ত করা আখাউড়াবাসীর দাবি। এতে শহরের সৌন্দর্য ফিরবে।
আখাউড়ার ইউএনও অংগ্যজাই মারমা বলেন, উচ্ছেদ অভিযান প্রক্রিয়াধীন। যে কোনো দিন শুরু হতে পারে।
মন্তব্য করুন