বা‌সে ই-টিকেটিং ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠন‌টির আ‌লোচনা সভা থে‌কে বলা হ‌য়ে‌ছে, পরিবহনখাতের সংস্কার না হ‌লে ই-টিকেটিং টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। ই-টিকিটে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া আদায় নিশ্চিত করায় যাত্রী ভাড়া কমে আসছে, ফলে বাস মালিকের আয়ও কমে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাস কোম্পা‌নির 'জিপি' ও অদৃশ্য রুট খরচ বন্ধ করা না গেলে অনেক মালিককে লোকসান দিয়ে বাস চালাতে হবে। তাই চাঁদাবা‌জি বন্ধ না হ‌লে বা‌সের ভাড়া কমা‌নো ই-টিকিট টিকবে না। 

বৃহস্প‌তিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনি‌টি‌তে যাত্রী কল্যাণ স‌মি‌তি আ‌য়ো‌জিত 'ঢাকা সিটিবাস সার্ভিসে ই-টিকিটিং: যাত্রীদের প্রত্যাশা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা ব‌লেন। 

স‌মি‌তির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ই-টিকেটিংয়ে কোন কোন পথে ভাড়া কমে আসার নজিরও রয়েছে। খিলক্ষেত থেকে মিরপুর-১১ পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। ই-টিকেটিং চালুর পর ভাড়া ক‌মে হ‌য়ে‌ছে ২২ টাকা। আসাদগেইট থেকে মিরপুর-১ আগে ২৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও ই-টিকেটিং ভাড়া ১৩ টাকা হ‌য়ে‌ছে। শেওড়াপাড়া থেকে ধানমন্ডি-২৭ পর্যন্ত আগে ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও ই টিকেটিং এ পথের ভাড়া ১৩ টাকা। মিরপুর-১ থেকে গাবতলী আগে ভাড়া ছিল ২০ টাকা। এখন তা ১০ টাকা। মিরপুর-১ থেকে সাভার আগে ভাড়া ছিল ৪০ টাকা, তা ৩০ টাকায় নেমে এসেছে।

সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিটি টিকিটে বাসের নাম, নিবন্ধন নাম্বার, যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, দূরত্ব, ভাড়ার অংক, ভ্রমণ তারিখ ও অভিযোগ কেন্দ্রের নাম্বারসমূহ থাকার কথা থাকলেও ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় এসব পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই।  শুধুমাত্র ভাড়ার অংক লেখা রয়েছে। ফলে এসব টিকিট দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে যাত্রীদের প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ নেই। 

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ই-টিকেটিংয়ে ওয়েবিলের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের পাশাপাশি বাসে বাসে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। রাজধানীতে ৩০ নভেম্বরের পর থেকে লক্কড়-ঝক্কড় বাস চল‌বে না। 

আ‌লোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, বিআরটিএ’র  উপ-পরিচালক স্বদেশ কুমার দাশ প্রমুখ।