তীব্র শীতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ায় সেখানে ভারী তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কিয়েভ ও এর আশপাশের লাখো মানুষ বিদ্যুৎ ও উষ্ণ ব্যবস্থার সুযোগ পাচ্ছেন না। জীবন বাঁচাতে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। রোববার থেকে কিয়েভে তুষারপাতের তথ্য পাওয়া গেছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে পারে। কারণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে থাকবে।

ইউক্রেনের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড অপারেটর শনিবার জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ তারা সরবরাহ করতে পারছেন। ফলে দেশজুড়ে আরও ব্ল্যাকআউট প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এদিকে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি ভালোমতো সামাল দিতে না পারায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকোর সমালোচনা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, কিয়েভের মেয়র এবং তাঁর কর্মকর্তারা অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

ইউক্রেনের নেতাদের নিয়ে জেলেনস্কির এমন প্রকাশ্য সমালোচনার ঘটনা বিরল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু থেকে জেলেনস্কি জাতীয় ঐক্যের ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে আসছেন। তাঁকে সাধারণত তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রশংসা করতে দেখা যায়।

অন্যদিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটিতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত লিওনিড স্লাটস্কি। সেনাবাহিনীতে খুব কমসংখ্যক চিকিৎসক থাকা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। খেরসন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর রাশিয়ার কাছ থেকে শহরটি পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেন। তবে পিছু হটলেও নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে শহরটিতে গোলাবর্ষণ শুরু করে রুশ বাহিনী। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। রোববার ইউক্রেনীয় পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।