দখলকৃত ইউক্রেনের চার অঞ্চল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে পুতিন ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের পরিস্থিতি 'খুবই জটিল' বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি দেশটির ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসকে (এফএসবি) সীমান্তে পর্যবেক্ষণ জোরদার ও 'নতুন হুমকি' মোকাবিলার আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন এ খবর জানায়।

গত সেপ্টেম্বরে এ চার এলাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন এ প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সেনারা এরই মধ্যে অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করতেও সক্ষম হয়েছে। অনেক এলাকায় তীব্র লড়াই চলছে। দখলকৃত এলাকাগুলোতে রুশ সেনাদের পাশাপাশি ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে রুশপন্থি বিদ্রোহীরাও। অবৈধ দখলে থাকা এ চার অঞ্চল ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একসঙ্গে ইউরোপের এত বড় আর কোনো অঞ্চল দখলের ঘটনা ঘটেনি। এ দখলের নিন্দা জানিয়ে আসছে কিয়েভ এবং এর পশ্চিমের মিত্ররা।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ ব্যারেল ইরানের নিন্দা জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি আবারও বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বেলারুশ সফরে পুতিন: সোমবার থেকে বেলারুশ সফরে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আগ্রাসনের শুরুতে রাশিয়া বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহার করেছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দোনেৎস্কে ইউক্রেন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাখমুত পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি সেখানে সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এদিকে কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা জানিয়েছেন, রাজধানী শহরটির বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা 'বেশ জটিল'। তিনি বলেন, সোমবার ভোরে কিয়েভের বিদ্যুৎ স্থাপনা লক্ষ্য করে আবারও হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।