বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩০টি দেশের টুইটার ব্যবহারকারীদের জন্য আত্মহত্যাপ্রতিরোধী এবং নিজের ক্ষতি থামানোর একটি বিশেষ হটলাইন সেবা চালু ছিল। টুইটার থেকে এটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাইক্রোব্লগিং সাইটটির সত্ত্বাধিকারী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। খবর: বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

হ্যাশট্যাগ দেয়ারইজহেল্প (#ThereIsHelp) নামে পরিচিত হটলাইন সেবাটি পাঁচ বছর আগে চালু করে টুইটার। এ সেবা চালু থাকায় ব্যবহারকারীরা মানসিক স্বাস্থ্য, এইচআইভি, টিকা, শিশু নির্যাতন, কোভিড-১৯, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সার্চ করলে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও সংস্থাগুলোর নাম আগেভাগে দেখানো হতো। এ সেবা বন্ধের ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও সামগ্রিক জীবনে বিপদগ্রস্ত ব্যবহারকারীরা বেকায়দায় পড়বেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক এইডস ইউনাইটেড এবং থাইল্যান্ডভিত্তিক আইল’ টুইটারের এ ফিচার বন্ধের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে। রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন সংস্থা দুটির কর্তারা।  

টেসলা ও স্পেসএক্সের সত্ত্বাধিকারী আলোচিত মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই নানা কারণে আলোচনায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই সিইওসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন তিনি। পরে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই। এমনকি এক পর্যায়ে অনেকে স্বেচ্ছায় টুইটারের চাকরি ছেড়ে দিতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে পরিচালন ও ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট নীতিমালায়ও একের পর এক পরিবর্তন এনে চলেছেন ইলন মাস্ক।