বিশ্বের অন্য দেশ যাতে পরিস্থিতি বুঝে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে, সেজন্য চীনকে করোনার বাস্তব পরিস্থিতি ও সঠিক তথ্য দিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণ বাড়লেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানায় জাতিসংঘের সংস্থাটি। খবর আলজাজিরার।

গত শুক্রবার চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ডব্লিউএইচও। এর পর দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিদিনের তথ্য নিয়মিত দিতে বলেছে। এর মধ্যে করোনার ধরন, হাসপাতালে ভর্তি, সংক্রমণ, আইসিইউ বেডে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য থাকতে হবে।

সংস্থাটি বলেছে, চীন ও বিশ্ববাসী যাতে প্রকৃত ঝুঁকি নিরূপণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সময়মতো তথ্য প্রকাশ করতে হবে। লকডাউন নীতি তুলে নেওয়ার পরে চীনে ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যু হলেও সরকারি তথ্যে সেসব পরিস্থিতি উঠে আসছে না। সম্প্রতি ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বেরিয়েছে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বেইজিংকে মহামারি পরিস্থিতির বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর তারা আলোচনায় বসে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ওই বৈঠকে চীনে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি ও টিকাদান, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে ডব্লিউএইচওকে জানিয়েছেন। সভায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য গুরুতর রোগ ও প্রাণহানি থেকে রক্ষায় টিকা ও বুস্টার টিকার ওপর জোর দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর সেটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে মহামারিতে রূপ নেয়। প্রায় তিন বছর কড়া লকডাউনে থাকায় সংক্রমিত কম হলেও ফের সেই চীনেই কয়েক মাস ধরে করোনার উত্থান হচ্ছে। সম্প্রতি দীর্ঘ লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জোরালো বিক্ষোভের পর শূন্য-কভিডনীতি থেকে সরে আসে চীন। এতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু।