৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাত হাজার ২১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে এদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন তা জানা যায়নি। খবর: রয়টার্স ও ইরাবতী’র।

মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী থুরা উ অং কো, সমাজসেবক ও লেখক ড থান মিন্ট, এনএলডির সাবেক তথ্য কর্মকর্তা ও লেখক উ তিন লিন উ এবং কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভুত্থানের পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মিয়ানমারে ১৬ হাজার ৮৬২ জনকে বন্দি করা হয়। এদের মধ্যে তিন হাজার ৪৬৩ জনকে বিভিন্ন সময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) এ তথ্য জানায়।

এদিকে মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সীমান্তে স্থিতিশীলতা আনতে এবং উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্নাইং। আজ বুধবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভিতে এ ভাষণ প্রচার হয়।

ভাষণে মিন অং হ্নাইং বলেন, ‘আমরা কিছু আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দেশ এবং সংস্থা ও ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা সব ধরনের চাপ, সমালোচনা ও হামলার মধ্যেই ইতিবাচকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সীমান্তের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য আমরা একত্রে কাজ করবো।'

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা।