- আন্তর্জাতিক
- পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটানের গেটওয়ে: মমতা
পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটানের গেটওয়ে: মমতা

মমতা বলেন, কলকাতা থেকে বিমানে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। থাইল্যান্ড যেতে মাত্র দু ঘণ্টা লাগে। সিঙ্গাপুরে যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। তাই পশ্চিমবঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। আপনারা সবাই আমাদের রাজ্যে, আমার দেশে ঘুরতে আসুন। আমাদের মানুষের সাথে কথা বলুন। আমরা খুব খুশি হব।
আজ সোমবার কলকাতার নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা এসব কথা বলেন।
উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বরে আমাদের রাজ্যে আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব হয়েছে। সেখানে ৭৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। আবার আমাদের সরকার পরিচালিত বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে ৪৬টি দেশ অংশ নিয়েছিল। বিষয়গুলো আপনাদের জানাতে চাই।
আন্তর্জাতিক অতিথিদের পশ্চিমবঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সংস্কৃতির কেন্দ্র হচ্ছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে এই বাংলা। এছাড়া বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মায়ানমারের গেটওয়েও এই বাংলা। আমার রাজ্যে আসুন। আমাদের দেশে আসুন।
পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে শিল্প ও পর্যটনে বাণিজ্যের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন মমতা।
ঐক্যের বার্তা দিয়ে পশ্চিবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ছাড়া দেশ বা পৃথিবীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বৃহৎ গণতন্ত্রে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য সরকার একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত, কেন্দ্রীয় সরকার আরেকটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত। তবে প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের উন্নয়ন।
মমতা বলেন, আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি কখনও বিভেদ সৃষ্টি করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন, তখন এ বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে, এ মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।
আগত সকল অতিথিদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই কলকাতা উপভোগ করুন। আমার মনে হয় আপনারা সবাই কলকাতাকে ভালবাসেন। এই কনভেনশন সেন্টারের উল্টো দিকেই ইকোপার্ক রয়েছে, ওয়াক্স মিউজিয়াম রয়েছে। আমি চাই আপনারা বার বার কলকাতায় আসুন। আমাদের গভীর সমুদ্রবন্দর আছে, গভীর অরণ্য আছে, বঙ্গোপসাগর আছে, রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে। এই মাটি স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলামের।
এর আগে জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভা উদ্বোধন করেন মমতা। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু 'ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম'।
আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় জি-২০ সম্মেলন চলবে। এতে যোগ দিতে এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের অতিথিরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন।
জি-২০ সদস্যভুক্ত দেশ ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, নাবার্ড ও আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিলের (আইএমএফ) মতো সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন