- আন্তর্জাতিক
- গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই ব্যাংকের চার শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই ব্যাংকের চার শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি-প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সমকালকে বলেন, গ্রেপ্তাররা ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।হারুন অর রশীদ আরও বলেন, গ্রেপ্তার চারজনই জামায়াতের অনুসারী। সংগঠনটির প্রবাসী সমর্থকদের মদদে তাঁরা গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটাতে বেশ কিছু লোকজন নিয়োগ করেন তাঁরা। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। ব্যাংক খাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে বিদেশ থেকে যাঁরা কলকাঠি নাড়ছেন তাঁদের সঙ্গে গ্রেপ্তার চারজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসীরা যাতে রেমিট্যান্স বৈধপথে না পাঠান এ জন্য নানা ধরনের প্রচারণাও তাঁরা চালাচ্ছিলেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে গুজবও ছড়ান তাঁরা।
ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। ব্যাংকটি এক সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত মীর কাশেম আলীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের দখলে ছিল। ব্যাংকটি পরে তাদের দখল থেকে মুক্ত হলে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে। তাঁরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কিছু লোককে আইনের আওতায় আনা হয় এবং তাঁদের দেওয়া তথ্যে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত কিছু ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আরও কিছু কর্মকর্তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখে অধিকতর তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি একই অভিযোগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাঁরা হলেন- মোহাম্মদ নূর উন নবী, আফসার উদ্দিন রোমান, আবু সাঈদ সাজু, স্বাধীন মিয়া ও আব্দুস সালাম। ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা জামায়াতের কর্মী-সমর্থক। এই চক্রের সদস্যরা দেশে-বিদেশে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল। সেসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েও এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে।
পর দিন রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংকিং খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এটি তদন্তের একপর্যায়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাঁদের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা জড়িত। বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজনের নামও পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন