ভয়াবহ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে তুরস্ক ও সিরিয়ার হাজার ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত সাত হাজার ৮০০ জনের বেশি নিহতের কথা জানা গেছে। যদিও তুরস্কে নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪০০ জনের বেশি তবুও এ ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা তুলনামূলক সিরিয়ায় বেশি বলে মন্তব্য করেছেন এক চিকিৎসক।

সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (এসএএমএস) তুরস্কে দায়িত্বপালনকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. বশির তাজআলদিন মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তুরস্ক ও সিরিয়ায় উভয় দেশেই ধ্বংসাত্মক অবস্থা তৈরি হয়েছে, তবে সিরিয়ায় ভয়াবহতা বেশি।’

ডা. বশির তাজআলদিন বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত থাকা উত্তর সিরিয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। ফলে ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প পরবর্তী সংকটে লোকজনের কাছে সহযোগিতা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম এনজিওগুলোর মাধ্যমে চালানো হয়। অপরদিকে তুরস্কে স্থিতিশীল সরকার থাকায় সবকিছু গুছিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে।’

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টা নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে সাত হাজার ২০০ জন ছাড়িয়েছে। দুই দেশে আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

১৯৯৯ সালের পর এটিই তুরস্কের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। দুদিনের উদ্ধারকাজে এ পর্যন্ত তুরস্কে পাঁচ হাজার ৮৯৪ জন মৃত্যুর কথা জানা গেছে। আর সিরিয়ায় এক হাজার ৯০০ জনের বেশি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। দশ প্রদেশের বিরাট এলাকাজুড়ে ভূমিকম্পের আঘাত হানায় উদ্ধারকাজে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি সংস্থা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ভারত  ও পাকিস্তানসহ অনেক দেশ থেকে উদ্ধারকারীরা তুরস্কে ও সিরিয়ায় পৌঁছেছেন।