তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গত সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছে তা কোনো দেশে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি। অধ্যাপক শিনজি টোডা নামে একজন বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেছেন। তিনি জাপানভিত্তিক তোহোকু ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার সায়েন্সের অধ্যাপক। 

তিনি বলেন, এটি বড় ধরনের অপ্রত্যাশিত ভূমিকম্প। বিশ্বের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এটি একটি। খবর- তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু।

জাপানি দৈনিক আসাহি শিম্বুনকে তিনি বলেন, ভূমিকম্পটি পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্ট জোনের প্রায় ১৫০ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে বিস্তৃত অঞ্চলে সক্রিয় ছিল বলে মনে করা হয়। এটি সক্রিয় ফল্ট হিসেবে পরিচিত।

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। 

বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।