আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তবে দুই পক্ষই কিছু সংস্কার কর্মসূচি এগিয়ে নিতে একমত হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে একটি বেইলআউট চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, খেলাপি হওয়া এড়াতে পারে পাকিস্তান। খবর ডনের।

পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই ঋণচুক্তি নিয়ে নবম দফার আলোচনার জন্য গত ৩১ জানুয়ারি ১০ দিনের সফরে পাকিস্তানে এসেছিল আইএমএফের প্রতিনিধি দল। অর্থনৈতিক সংকটে পড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে সহায়তার বিষয়ে একটি চুক্তি করতেই তারা এসেছিল। তবে তা ব্যর্থ হওয়ায় শুক্রবার পাকিস্তান ছেড়েছে দলটি।

পাকিস্তানের অর্থ সচিব হামেদ ইয়াকুব শেখ বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের পূর্বশর্ত পূরণে কী কী করণীয় সে বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। তবে স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্টের বিষয়ে পরে ঘোষণা দেওয়া হবে।

শুক্রবার সকালে আইএমএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঋণের পূর্বশর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে। তবে এবারের কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়বস্তু আইএমএফের পর্ষদ সভায় উঠবে না।

পাকিস্তান সরকার আশা করেছিল, ঋণ পেতে ক্রমান্বয়ে সব শর্ত পূরণে পাকিস্তানের সদিচ্ছার কথা তারা আইএমএফ কর্মকর্তাদের বোঝাতে পারবে। কিন্তু সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের ১০ দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সেই আশা ভেস্তে যায়। স্টাফ লেভেল চুক্তি ছাড়াই শেষ হয় আলোচনা।

এদিকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছেই। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হিসাব অনুসারে, চরম আর্থিক সংকটে থাকা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৭ কোটি ডলার কমে গেছে। এখন এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯০ কোটি ডলারে।

আইএমএফের অর্থ ছাড় পেলে পাকিস্তানের পক্ষে অন্য উৎসগুলো থেকেও ঋণ পাওয়া সহজ হতো।

স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান বলেছে, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।