­­ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে জয়ী হয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। মেঘালয়ে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে পারে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ রাজ্যগুলোর প্রতিটিতে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০টি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হবে ৩১ আসনের। ত্রিপুরায় নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ৩৩টি আসন। এর আগে ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৬টিতে জিতেছিল। রাজ্যটিতে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে আঞ্চলিক দল তিপ্রা মথার। দলটি ১৩টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এর পরই আছে বামফ্রন্ট। তারা পেয়েছে ১১টি আসন। কংগ্রেস তিনটি আসনে জয় পেয়েছে।

নাগাল্যান্ডে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। তারা ৩৬টি আসনে জিতেছে। এর মধ্যে এনডিপিপি (ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিভ প্রোগ্রেসিভ পার্টি) ২৪টি ও বিজেপি ১২টিতে জিতেছে। দুটি আসনে এনপিএফ, সাতটিতে এনসিপি ও ১৫টি আসনে অন্যান্য দল জিতেছে। নাগাল্যান্ডে কংগ্রেস কোনো আসনে জেতেনি।

মেঘালয়ে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল এনপিপি সব চেয়ে বেশি ২৫টি আসন পেয়েছে। তৃণমূল ও কংগ্রেস পেয়েছে পাঁচটি করে আসন। ইউডিপি জিতেছে ১১টি আসনে। বিজেপি তিনটি ও অন্যান্য দল ১০টি আসনে জয়ী হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া এনপিপিকে অন্য দলের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে হবে।

নাগাল্যান্ডে প্রথমবারের মতো কোনো নারী বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। রাজ্যটির ডিমাপুর-৩ আসন থেকে জয়ী হন এনডিপি প্রার্থী হেকানি জাখালু।
এ তিন রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের একটি বিধানসভা আসনেও ভোট গ্রহণ হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসনে তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৩ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের বাইরন বিশ্বাস। আসনটিতে টানা তিনবার তৃণমূল জয়ী হয়েছিল।

এছাড়া কংগ্রেসের একটি জয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। মহারাষ্ট্র রাজ্যের কসবা পাথে বিজেপিকে হারিয়েছেন কংগ্রেসের রবীন্দ্র দাঙ্গেকর। তিনি ১০ হাজার ৮০০ ভোট বেশি পান। আসনটিতে ২৮ বছর ধরে বিজেপি জিতে আসছে।