- আন্তর্জাতিক
- ‘দুই যুগেও হয় না বিচার, এই লজ্জা ও অপমান কার’
যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা
‘দুই যুগেও হয় না বিচার, এই লজ্জা ও অপমান কার’

যশোর টাউন হলে ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে ১০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। অথচ এখনও চাঞ্চল্যকর সে ঘটনার বিচার করা যায়নি। উল্টো ২০০৬ সালের মে মাসে আদালতের রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। এমন একটি ঘটনার বিচার করতে না পারাকে রাষ্ট্রের দুর্বলতা বলে অভিহিত করেছেন বিশিষ্টজন।
তাঁরা বলছেন, রাষ্ট্রের দুর্বলতার সুযোগেই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো তাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উদাসীনতাই বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে হলি আর্টিসানের মতো ভয়ানক পরিণতির দিকে। শুরুতেই যদি উদীচী ট্র্যাজেডি তথা যশোর হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচন করা যেত, তাহলে পরবর্তী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলো হয়তো ঘটত না।
উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার দুই যুগপূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার যশোর টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘দুই যুগেও হয় না বিচার, এই লজ্জা ও অপমান কার’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য।
সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে মামলার সব ধরনের দুর্বলতা কাটিয়ে অবিলম্বে শিল্পী-কর্মীদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এতে আরও বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, ইকরামুল কবির ইল্টু, সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, জেলা উদীচীর সহসভাপতি আমিনুর রহমান হিরু প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর সন্ধ্যায় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। এরপর ছিল প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
মন্তব্য করুন